এবার বগুড়ায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের সাতমাথা এলাকায় একাধিক রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রথমে আওয়ামী লীগ ও জাসদের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। রাত ১০টার দিকে সাতমাথায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর শুরু হয় এবং পরে এস্কেভেটর ব্যবহার করে ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশের টাউন ক্লাব ও প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির ব্যক্তিগত অফিসও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ১২টার দিকে জেলা জাসদের কার্যালয়ে একইভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।
এর আগে, সন্ধ্যায় বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে স্থাপিত নামফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম অপসারণের ঘটনা ঘটে।
একদল বিক্ষুব্ধ যুবক হাতুড়ি ও শাবল নিয়ে নামফলক ভেঙে ফেলে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি হিরো এ ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক ও দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে, বগুড়া সদর থানার ওসি একেএম মঈনউদ্দিন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে, জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ঘটনায় শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: