গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক ছাত্রনেতারা সরকারে থেকে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেবে না বলে নিশ্চিত করেছেন আইন উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল।
তিনি জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের কিংবা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব বা বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পাবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজের ফেসবুক পোস্টে ড. আসিফ নজরুল এসব কথা উল্লেখ করেন।
পোস্টে তিনি বলেন, “ছাত্রনেতারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠন বা এতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন না।
আমি দায়িত্ব নিয়ে এই কথা বলছি। একইসঙ্গে, জুলাই ঘোষণাপত্র হবে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলিল, যেখানে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মতামত আন্তরিকভাবে প্রতিফলিত হবে। সবার সহযোগিতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়া কাম্য নয়।
এ ধরনের বিভাজন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করবে এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে আরও উৎসাহিত করতে পারে। গত কয়েকদিনে এ ধরনের পরিস্থিতির কিছু প্রমাণ আমরা পেয়েছি।”
ড. নজরুল দাবি করেন, “বিগত কয়েকদিনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা এবং ছাত্রনেতাদের পলায়নের গুজব ছড়ানোর কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে নাশকতার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। তবে এসব গুজবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র বা ১/১১-এর মতো কিছুর পেছনে নেই। ছাত্রনেতারাও সরকারে থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন না। বরং বৃহত্তর রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য উন্মুক্ত আছেন।”
আওয়ামী লীগের শক্তি এবং সমর্থনের বিষয়ে তিনি বলেন, “এই গণহত্যাকারী দলটির হাতে রয়েছে লুটের বিপুল অর্থ, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং বিদেশি সমর্থন।
তবে তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের ঐক্য অপরিহার্য। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ভিন্নমত থাকা স্বাভাবিক, তবে তা যেন জাতীয় ঐক্যের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।”
ড. আসিফ নজরুল তার পোস্টে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান, যাতে দেশের শত্রুদের কোনো ধরনের সুযোগ না দেওয়া হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: