protidinerbangla22@gmail.com রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১

সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২:৩৩ এএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, তারা কোনো ধরনের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবেন না।

তিনি বলেন, “আমরা ৩ আগস্ট থেকেই বলে আসছি, সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থার বিপক্ষে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।

আমাদের ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। শেষে বঙ্গভবনে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”

নাহিদ আরও বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার।

তবে বিএনপি এতে রাজি হয়নি। যদি জাতীয় সরকার গঠিত হতো, ছাত্রদের সরকারে আসার প্রয়োজন পড়ত না। অভ্যুত্থানের পরই জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বিএনপি তা করতে চায়নি এবং এখন তারা জাতীয় সরকারের কথা বলছে নির্বাচনের পরে।

তিনি উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে এবং পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন কিছু আপোষকামী জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে বসে নতুন সরকার গঠনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। ছাত্র-জনতা কখনোই তা মেনে নেবে না।”

নাহিদ ১/১১ সরকারের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “১/১১ থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান শুরু হয়।

বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যে আবারও ১/১১-এর মতো সরকার আসার আভাস রয়েছে। এটি গুম-খুনের বিচার বন্ধ করার এবং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের মধ্যে আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তবে সরকারে বিএনপিপন্থী লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ এখানে মানুষ সহজেই বিভক্ত হয়ে পড়ে।

আমরা আওয়ামী লীগের অপরাধের পরেও জাতীয় ঐক্য করতে ব্যর্থ হয়েছি। অথচ এটি দেশের স্থিতিশীলতা ও বৃহত্তর স্বার্থের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, “আমি মনে করি না পুরো বিএনপি অভ্যুত্থানের বিরোধী। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান জানাব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে তাদের সাথে বৃহত্তর ঐক্যের পথ বেছে নিন।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “গণতন্ত্রবিরোধী কোনো পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হবে না।

জাতীয় স্বার্থ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আমরা সবসময় জনগণের পক্ষে আছি এবং থাকব।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর