গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে এ পর্যন্ত ৮০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা। বাতিল করা পাসপোর্টের মধ্যে রয়েছে ৩৬ জন সাবেক মন্ত্রীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এছাড়া স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, উপদেষ্টা ও সাড়ে তিনশ সংসদ সদস্যের লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী-এমপি, উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তবে তা তদন্তের পরই অনুমোদিত হবে। গুম ও গণঅভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯৭ জনের পাসপোর্ট সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে, যাদের জন্য সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করার সুযোগও নেই।
গুম এবং সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৪ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং র্যাবের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের পাশাপাশি সংরক্ষিত ডাটাও জব্দ করা হয়েছে। তারা যাতে বিদেশে ভ্রমণ করতে না পারেন, সে জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে কিছু ব্যক্তি আগে থেকেই দেশ ত্যাগ করেছেন।
পাসপোর্ট বাতিলের আগে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে দেশটির ট্রাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেক নেতা বিদেশে অবস্থান করছেন। কেউ বৈধ পথে, কেউবা অবৈধভাবে দেশ ছেড়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে এবং গুম, খুন এবং অন্যান্য অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: