news.protidinerbangla22@gmail.com শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৪ আশ্বিন ১৪৩১

মাঠের কর্মসূচিতে সরব থাকতে চায় বিএনপির মিত্ররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪ ১:০৮ পিএম

ফাইল ছবি

,

বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে রাজপথে বেশ সক্রিয় ছিল বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সারাবছরই সমাবেশ, র‌্যালি, গণসংযোগের মতো কর্মসূচি পালন করে দলটি। তবে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর কোনো আন্দোলনই সে অর্থে বেগবান হয়নি। নির্বাচন বর্জনের দাবিতে লিফলেট বিতরণের মতো ‘নমনীয়’ কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ ছিল বিএনপি ও মিত্রদের আন্দোলন।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেননি দলটির নেতারা। বিএনপির কোনো কোনো নেতা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানালেও এ দাবি আদায়ে কোনো কর্মসূচি এখনো দৃশ্যমান নয়। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে ভারতীয় পণ্য বর্জন ইস্যু। দলগতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা না দিলেও বিএনপির অনেক নেতা এর পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন। ফলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান মিত্রদের কাছে স্পষ্ট নয়।

পাশাপাশি দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বেশ কয়েকবছর ধরে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দূরত্ব কমিয়ে আন্দোলনে জামায়াতকে পাশে টানার আবদারও আছে কোনো কোনো মিত্র দলের। নির্বাচন বর্জনকারী সবাইকে নিয়েই জাতীয় ঐক্য গড়ে ঈদুল আজহার পর মাঠের কর্মসূচিতে ফিরতে বিএনপির কাছে প্রস্তাব রেখেছেন মিত্র দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

বিএনপির মিত্র দলগুলোর নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে রাজপথের কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের দাবি আদায়ের বিকল্প নেই। তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, মিত্রদের প্রস্তাবনা নিয়ে দলের সর্বোচ্চ ফোরামে আলোচনা হবে। এরপর ফের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কথা হয় বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে মাঠের কর্মসূচিতে নামার জন্য বিএনপির কাছে আমরা প্রস্তাব রেখেছি, যাতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায় করা যায়।’

সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মিত্র দলগুলোর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপির। এ দূরত্ব ঘোচাতে গত ১২ মে থেকে মিত্র দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন বিএনপি নেতারা। গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণফোরাম, পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ (নুর), গণঅধিকার পরিষদ (রেজা), বাংলাদেশ লেবার পার্টি (ইরান), এনডিএম এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এসব বৈঠকে ঈদুল আজহার পর আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর