মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
তবে তার পরদিনই ভারতের কেন্দ্র সরকার তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন। তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে তাকে দীর্ঘস্থায়ী আশ্রয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সরকারি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানিয়েছে, “অতিথিদের দেবতার মতো দেখার যে নীতি ভারতের রয়েছে, তার ভিত্তিতেই শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর শেখ হাসিনা দীর্ঘ সময় ভারতে ছিলেন।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত বছর তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণ ৫ আগস্ট তার সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। ওইদিন পালিয়ে তিনি ভারতে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানালেও, ভারত আপাতত তাকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় দিয়েছে।
সূত্র: নিউজ-১৮
এসআর
মন্তব্য করুন: