বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে।
ফলে আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, "অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য সব দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরও নানা অপরাধে নির্বাচনে অযোগ্য হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন, ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছেন, তারা ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ আগামী নির্বাচনের জন্য ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো:
১. বিতর্কিত নির্বাচনি অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা।
২. সাবেক নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত।
৩. আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে ভোট বন্ধের ক্ষমতা ইসির হাতে ফিরিয়ে আনা।
৪. নির্বাচনি সহিংসতা এবং অপরাধের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর শাস্তি।
৫. দুর্নীতিবাজ, ঋণ খেলাপি, এবং অর্থপাচারকারীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার কঠোর আইন প্রণয়ন।
৬. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের সুযোগ প্রদান।
৭. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান বাঁধাস্বরূপ আইন বাতিল।
৮. রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আয়োজন।
৯. মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা।
১০. নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা একমত হন যে, ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: