টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার সবকিছুতে দলীয়করণ করেছে এবং বিরোধী মত দমনে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।
তাদের মতে, সত্যের পক্ষে কথা বললেও মানুষকে হয়রানি ও কারাবরণ করতে হয়েছে। এর ফলে দেশের সৃজনশীলতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
“জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে সৃজনশীলতার স্বাধীনতা” শীর্ষক এই আলোচনা আয়োজন করে কারখানা স্টুডিও ও ইএমকে সেন্টার।
কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় বলেন, “২০১০ সালের দিকেও বাংলাদেশে কার্টুনিস্টদের কাজ করার স্বাধীনতা ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা ক্রমশ সংকুচিত হয়। অনেক কার্টুনিস্টকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে এবং কারাগারে যেতে হয়েছে।”
লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে চলা দলীয়করণ সমাজে মতপ্রকাশের জায়গাগুলো সংকুচিত করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।”
থিয়েটার অ্যাক্টিভিস্ট ও ক্রিয়েটিভ প্রযোজক শাহনাজ পারভীন জোনাকি বলেন, “সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাব মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু দলীয়করণের ফলে সৃজনশীলতার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থপতি ও সঙ্গীতশিল্পী আয়া লেমনস্কি বলেন, দেশের সৃজনশীল মানুষদের জন্য একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনো সরকার যেন এমন পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সেজন্য কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান সরকারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতার জায়গা পুনঃস্থাপন করতে হবে। তা না হলে সমাজে বিভাজন আরও বাড়বে।
আলোচনা পরিচালনা
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মুনহা মান্না।
বক্তারা বিশ্বাস করেন, সৃজনশীলতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা গেলে দেশ আরও সমৃদ্ধ হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: