প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটে নিয়েছে আওয়ামী লীগ: তারেক রহমান

প্রতিবন্ধীদের ভাতা লুটের অভিযোগ তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা আত্মসাৎ করেছে।

শনিবার বিকালে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

তারেক রহমান বলেন, "২০০১ সালে বিএনপি সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করলেও আওয়ামী লীগ তা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয় না করে, নিজেদের নেতা-কর্মীদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবন্ধীদের ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি এবং ভাতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া ন্যায্য ও স্বচ্ছ করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেবো।"

এছাড়া, তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করবে।

তারেক রহমান বলেন, "আমরা নির্বাচিত হলে, বিএনপি সরকার নিশ্চিত করবে যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও অন্যান্য নাগরিকদের মতো তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাদের জন্য সুস্থ চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং এক্সিসেবল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।"

তিনি আরও বলেন, "বিএনপি ক্ষমতায় আসলে, আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘সুবর্ণ নাগরিক কার্ড’ কার্যকর করব, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বীমা, শিক্ষা বৃত্তি এবং পরিবহন ডিসকাউন্টসহ নানা সুবিধা দেওয়া হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেধাবী তরুণদের জন্য ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা আউটসোর্সিং, ডাটা প্রসেসিং এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো কাজ করতে পারে।"

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাদের জন্য উপযোগী করে তোলা, গণপরিবহন সহজলভ্য করা এবং বিশেষ শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, "আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আমরা কখনো আপনাদের পিছনে রেখে এগোতে পারি না, এবং কখনো চাইও না। একসঙ্গে, আমরা একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যা হবে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানকারী।"

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. পারভেজ রেজা কাকনসহ দলের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।