[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫
১৯ পৌষ ১৪৩১

ভারত বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯:০২ পিএম

ফাইল ছবি

ভারত মিথ্যার জাল ছড়িয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তবে প্রযুক্তির এই যুগে তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, "ভারত পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের জন্য মায়া-কান্না করছে, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিবিদরা, নীতিনির্ধারকরা এবং মিডিয়ার কিছু অংশ। তারা বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে—এই ধরনের মিথ্যা প্রচার করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "ভারতকে আমরা কখনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে জানতাম, যেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে যেন হিংস্র ঘাতকরা বাস করছে। ভারতের রাজনীতিবিদরা শেখ হাসিনার জন্য মায়া-কান্না করছেন, যা এখন পুরোপুরি প্রমাণিত হচ্ছে।"

ভারতের সমালোচনা করতে গিয়ে রিজভী বলেন, "ভারত এত দূর এগিয়ে গেছে যে, আমাদের স্বাধীনতার পতাকাও ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর আক্রমণ করেছে, যা ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ। তারা একবারও ভাবেনি, শেখ হাসিনা নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে কী নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছেন।"

রিজভী জানান, "আজ আমি বার্ন ইউনিটে যে দৃশ্য দেখলাম, তা বর্ণনা করা অসম্ভব। আন্দোলনে আহতদের যন্ত্রণার দৃশ্য এমন ছিল যে, মনে হচ্ছিল যেন একটি হরর ছবির দৃশ্য দেখছি। এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন পলাতক স্বৈরাচার, এবং এখন তাদের জন্য মায়া-কান্না কেন?"

তিনি আরও বলেন, "শুধু শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে তারা ইসকনের মতো বিতর্কিত বিষয়কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে কান্নার রোল তৈরি করেছে।"

রিজভী বলেন, "বাংলাদেশ একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র। এটি রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশের মুখ নিচু করতে পারবে না। এই দেশে অপরাধীদের বিচার হবে, যারা আমাদের ভাই-বোনদের পঙ্গু করেছে। তাদের বিচার হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।"

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দীন বকুল, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আওয়াল প্রমুখ।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর