ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, আর ভারত থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি করা হচ্ছে।
কী ধরনের আলামত?" তিনি প্রশ্ন করেন, "ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর কেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে?"
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্র জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মিরপুরে শহিদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, "আমরা দেখছি একটি নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। এই সংগঠনটি কীভাবে গড়ে উঠল? এর নেতৃত্বে কে আছেন? যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে পরিচিত হয়ে সারাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।" তিনি আরও বলেন, "ভারত থেকে যদি চিন্ময়ের মুক্তির দাবি করা হয়, তাহলে এটি বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের চেষ্টা নয় তো কী?"
রিজভী অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনার সরকারের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, তবে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তখন কোনো বিবৃতি দেয়নি। আজ যখন সরকার এবং সাধারণ জনগণ বুঝতে পারছে যে, একটি ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা চলছে, তখন ভারত থেকে বিবৃতি আসছে। এটি একটি রহস্যজনক ঘটনা, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সবাই দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। তবে এখন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে যে, হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমরা সচেতন রয়েছি।"
রিজভী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জনগণের শক্তির প্রতি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো প্রচেষ্টা সফল হতে দেবে না।"
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফউদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোখসেদুল মোমিন মিথুন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।
এসআর
মন্তব্য করুন: