অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার জনগণের আকাঙ্খার প্রতি দায়বদ্ধ।
বিএনপির দ্রুত নির্বাচনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি জানান, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের ভিত্তিতেই হবে, কোনো চাপের কারণে নয়।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য। আমরা চাই এমন একটি প্রক্রিয়া, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।”
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার জন্য সমালোচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নির্বিচারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কিছু দাবি ন্যায্য হলেও সব দাবি বাস্তবসম্মত নয়। কিছু দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
তাই আমরা সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “যে আইনগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে অন্তরায়, সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
আমরা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে এমন একটি রূপরেখা তৈরি করতে চাই, যাতে দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।”
সরকারের পক্ষ থেকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকভাবে কাজ করা হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: