সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ২০১৩ সালের আলোচিত ৪ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক এমপি এবং কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগেও, গত অক্টোবর মাসে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা দুটি মামলা দায়ের করেন।
সোমবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা এই মামলায় মোট ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী মামলার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পুলিশ সদস্যরা তাদের আইনি দায়িত্ব পালন না করে, উল্টো পুলিশের পোশাক পরে আসামিদের পক্ষে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অবৈধভাবে অংশ নিয়েছেন।
২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর পূর্বঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় সিংগাইরের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় হরতালের সমর্থনে শতশত মানুষের জমায়েত হয়।
এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আলমগীর হোসেনসহ ৪ জন।
নতুন মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জড়িত ছিলেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ভিপি শহিদ, সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতা।
এছাড়া, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদসহ ৩৭ জন।
২০১৩ সালের এই হত্যাকাণ্ডে আলমগীর হোসেন, নাসির, নাজিমুদ্দিন মোল্লা এবং শাহ আলম নিহত হন। নিহত আলমগীরের স্ত্রী রাফেজা মামলার এজাহার দাখিল করার সময় বলেন, থানার কর্মকর্তারা তাকে মামলা দায়ের না করতে হুমকি দেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, পৃথক তিনটি হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: