রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ব্যানারে কয়েক শতাধিক মানুষ এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে এ ঘটনায় জাতীয় পার্টি শুক্রবার সকাল ১১টায় বনানীর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী নেওয়াজ খান বাপ্পী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে আসার সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়, এতে বহু নেতাকর্মী আহত হন।
হামলার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং পাল্টা প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা তাদের দিকে বন্দুক তাক করলে ছাত্র-জনতা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিক্রিয়া জানায়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী মিছিলটি বিজয়নগরে শেষ করার কথা ছিল, তবে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে আক্রমণের শিকার হয়। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।”
হাসান আল মামুন জানান, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগে থেকেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অবস্থান করছিল। মিছিলটি আসার পরপরই তারা ইটপাটকেল ছোড়ে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে দলীয়ভাবে আলোচনার পর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: