বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা,সংস্কৃতি ও সম্প্রীতি প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)।
গত এক বছরে রাবিপ্রবিতে একাডেমিক উন্নয়নের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন।
ক্যাম্পাসের পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্লাবগুলোর সক্রিয়তা সব মিলিয়ে রাবিপ্রবি এখন যেন এক নবজাগরণের সময় পার করছে।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই রাবিপ্রবি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশভিত্তিক শিক্ষার উপর জোর দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে সহশিক্ষা কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকলেও গত এক বছরে রাবিপ্রবির সহশিক্ষা কার্যক্রমে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
বিভিন্ন ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫০ এরও বেশি সেমিনার ও কর্মশালা। যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞানের বাইরে আত্মবিশ্বাস, সামাজিক দায়িত্ব ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে ভূমিকা রাখছে।
রাবিপ্রবির বর্তমান প্রশাসন সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়ায় এই পরিবর্তন আরও দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকেরা বিভিন্ন ইভেন্টে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করছেন।
রাবিপ্রবিতে বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি) অধ্যয়নরত প্রায় এক হাজার একশত শিক্ষার্থী।এছাড়াও ইউজিসির অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে আরও পাঁচটি নতুন বিভাগ।
বর্তমানে রাবিপ্রবির সহশিক্ষা অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দশটি ক্লাব সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, নতুন বিভাগ চালু হলে সহশিক্ষা কার্যক্রমের পরিসর বড় হবে এবং গবেষণার সুযোগও বাড়বে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা রিসার্চ ক্লাব, ইংরেজি ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, বিএনসিসি, স্কাউট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব, ইনোভেশন ক্লাব ও এনভায়রনমেন্ট ক্লাবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
গত এক বছরে রাবিপ্রবির সহশিক্ষা অঙ্গনে যে পরিবর্তন এসেছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। রাবিপ্রবি ধীরেধীরে গড়ে উঠছে একটি সমৃদ্ধ, সৃজনশীল ও উদ্দীপনাময় ক্যাম্পাস হিসেবে।
লেখকঃ সভাপতি, রাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি
এসআর
মন্তব্য করুন: