রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাস ও তাণ্ডবের সঙ্গে চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কি কোনও সম্পর্ক ছিল?
পুরো বিষয়টা সুষ্ঠুভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে– সম্পর্ক ছিল, তা মনে করার কোনও কারণ নেই। তারা সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বিলুপ্তি চেয়ে শুধু মেধার ভিত্তিতে চাকরি প্রাপ্তির যোগ্যতা হওয়া উচিত বলে যে আন্দোলন শুরু করেছিল তা যে যৌক্তিক সেই ব্যাপারে কেউ কখনও দ্বিমত করেনি। যদিও বিশ্বের সব দেশে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার প্রচলন আছে।
ইউরোপের সব দেশে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে ৪০ শতাংশ চাকরি মহিলা ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা আট আর জাপানে পাঁচ। এগুলো সব উন্নত বিশ্বের দেশ বা অঞ্চল। ভারতের কথা না-ই বললাম।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই সরকারি প্রজ্ঞাপনের দ্বারা ঘোষিত হয়। এরপর তা ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। যেকোনও দেশেই এই কোটা ব্যবস্থা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংস্কার করা হয়। বাংলাদেশে তেমনটি না হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ৭৫ সালের পর বস্তুত পুরো কোটা ব্যবস্থাই অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল। বিশেষ টার্গেট ছিল ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কোটা। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধা মানে একজন অপরাধী, কারণ তারা ক্ষমতাসীনদের সাধের পাকিস্তান ভেঙে বাংলা নামের একটা স্বাধীন দেশ সৃষ্টি করেছিলেন।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা উত্তরাধিকার সূত্রে পান জিয়া-এরশাদ জমানার ও তাদের ভাবধারার একটি সর্বনাশা আমলাতন্ত্র; যাদের অধিকাংশ সদস্যই জন্মগতভাবেই ছিল আওয়ামী লীগ-বিরোধী। শেখ হাসিনার সেই আমলে ঘর গোছাতেই পুরো সময় ব্যয় করেন।
তার সেই মেয়াদের প্রথম দেড় বছর বিএনপি-জামায়াত জোট তাকে তো কাজই করতে দেয়নি। আজ এই অজুহাতে শ্রমিক ধর্মঘট তো কাল আরেক অজুহাতে হরতাল বা চট্টগ্রাম বন্দর অচল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠনের আগে কেউ এই কোটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই তোলেনি বা আন্দোলনের কথাও ভাবেনি। কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথম রাস্তায় নামে ২০১৮ সালে। সেই সময় এই আন্দোলন কিছু দিনের মধ্যে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রূপ নেয়। তবে সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও তার সংলগ্ন এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। একসময় আক্রান্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও তার পরিবার।
উপাচার্যের বাসভবনে চালানো হয় এক ভয়াবহ তাণ্ডব, যদিও কোটা রাখা না রাখার সঙ্গে উপাচার্যের কোনও সম্পর্ক ছিল না। ঢাকার জনজীবন হয়ে যায় বিপর্যস্ত। তখন প্রধানমন্ত্রী এক নির্বাহী আদেশ বলে পুরো কোটা ব্যবস্থাকেই বাতিল করে দেন। বলতে হয় বাতিল করাটা পদ্ধতিগতভাবে হয়তো ত্রুটিযুক্ত ছিল। তার পাশে থাকা আমলাকুল এই সম্পর্কে তাকে সঠিক পরামর্শ হয়তো দিতে পারতেন। দেননি, কারণ এই দেশে একশ্রেণির আমলা আছেন যারা সরকারকে সময়মতো অনেক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হন বা দেন না। বলা হয়, সবসময় আমলারা পরবর্তী সরকারের জন্য কাজ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর ২০১৮ সাল থেকে সরকারি চাকরিতে আর কোনও কোটা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। সব সরকারি চাকরিই হয়েছে মেধার ভিত্তিতে।
২০০৯ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট নানাভাবে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছে। একাধিক পশ্চিমা শক্তি তাদের সরাসরি সহায়তা করেছে। এই কাজে তাদের পক্ষে কাজ করতে এই দেশে তারা সৃষ্টি করেছে নানা ছদ্মবেশে বেশ কয়েকটি সংগঠন, যেগুলো সুশীল সমাজের সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালের মে মাসে মাঠে নেমেছিল হেফাজতে ইসলাম নামের একটি মাদ্রাসাভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন। তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট আর একশ্রেণির গণমাধ্যম। সেই সময় শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসের কারণে সরকার উৎখাতের তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রধান বেগম জিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে শুরু হয় দেশে আরেক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস। প্রায় তিনশত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয় পেট্রোলবোমা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। বাদ যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও। কয়েক শত কোটি টাকার সরকারি ও বেসরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়। যখনই দেশে একটা নির্বাচন আসে অথবা দেশে অর্থনীতি সচল থাকে তখনই বর্তমান সরকারবিরোধী জোট এমন সব কর্মকাণ্ড শুরু করে। তাদের মদত জোগাতে এগিয়ে আসে তাদের অর্থে লালিত এই দেশে ক্রিয়াশীল বর্ণিত সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো ও একশ্রেণির শিক্ষিত নাগরিক সমাজ। এবারের তাণ্ডবও পূর্বের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এক ধরনের ধারাবাহিকতা।
পার্থক্য শুধু এবার তা ছিল অনেকটা সুপরিকল্পিত।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দেশের উচ্চ আদালতে ২০২১ সালে একটি রিট মামলা দায়ের করলে আদালত ২০১৮ সালের নির্বাহী আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে সরকার ত্বরিত দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিষয়টা পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করে। কিন্তু এরইমধ্যে আবার একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
সব বিবেকবান মানুষ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে কোনও মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সরকার এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যে মহলটি অগণতান্ত্রিক উপায়ে বর্তমান সরকারের পতন চায় তাদের ‘পোষা সুশীল সমাজের’ কিছু সদস্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করে তাদের সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও শক্তি নিয়োগ করে। এরইমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৭ আগস্ট মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করে। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এই সুশীলরা বলেন– ‘এটি আদালতের কোনও বিষয় নয়’।
সরকারপ্রধান চাইলেই বিষয়টি মীমাংসা করে দিতে পারেন। এমন কপট ও স্বার্থান্বেষী শিক্ষিত নাগরিক সমাজের সদস্য এর আগে এই দেশে কখনও দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সব প্রথা ভেঙে টিভিতে এক ভাষণ দিয়ে ছাত্রদের আশ্বস্ত করেন– তিনিও তাদের দাবির সঙ্গে একমত। দেশের প্রধান বিচারপতিও শিক্ষার্থীদের দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে মামলা নিষ্পত্তির তারিখ ১৭ দিন এগিয়ে এনে ২১ জুলাই নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি। এটিও একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। কিন্তু মূল ষড়যন্ত্রকারীরা বসে থাকবে কেন? তাদের উদ্দেশ্য তো এই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে দেশে এক চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে উৎখাত করা আর সুযোগ পেলে দেশে আর একটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করা। এর আগে তো এদের স্লোগানই ছিল ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার’।
যেহেতু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোনও একক নেতৃত্ব ছিল না, তাদের আন্দোলনকে পুঁজি করে সরকার উৎখাতের সব ব্যবস্থা মোটামুটি করেই ফেলেছিল সরকার-বিরোধীরা। আন্দোলনকারীদের অপরিপক্ব নেতৃত্ব বুঝতেই পারেনি কখন নীরবে তাদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। মূল নেতৃত্ব চলে গেছে লন্ডনে। যেই আন্দোলন শুরু থেকেই সুশৃঙ্খল ছিল সেই আন্দোলন হঠাৎ এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করলো।
এই তাণ্ডবে শরিক করার জন্য নরসিংদী কারাগার ভেঙে সব জঙ্গিকে মুক্ত করে দিলো, যাদের মধ্যে ছিল নয়জন জঙ্গি। কারাগার থেকে লুট হলো ৮৫টি অস্ত্র আর হাজারের ওপর গুলি। প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, পুরো পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ চলে গেলো একাত্তরের পরাজিত শক্তির কাছে আর তাদের সকল প্রকারের নির্দেশনা আসছে লন্ডন থেকে।
২১ জুলাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাদের চূড়ান্ত রায়ে বস্তুত শিক্ষার্থীদের সব দাবিই যথার্থ বলে রায় দিয়েছেন। এরইমধ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা ঢাকার সব প্রবেশমুখ তাদের দখলে নিয়েছে। শুরু করে দেয় তাদের তাণ্ডব। রায় আসার পূর্বেই ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু ঢাকাতেই রাষ্ট্রের ৭৯টি স্থাপনা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। তাদের মূল টার্গেট ছিল বর্তমান সরকারের আমলে দেশে যত উন্নয়নমূলক স্থাপনা হয়েছে তাকে ধ্বংস করা।
আর দু-একদিন সময় পেলে তারা হয়তো শাহ আমানত বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ধ্বংস করতো আর বিশ্বনন্দিত পদ্মা সেতুর ক্ষতি করার চেষ্টা করতো। মারাত্মক ক্ষতি করতে পারতো কর্ণফুলী টানেলের। তার আগেই ১৯ জুলাই দেশে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সরকার রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে কারফিউ জারি করে তা বলবৎ করতে সেনাবাহিনী নামালো।
এই যে এত ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ঢাকা ও তৎসংলগ্ন এলাকাকে সন্ত্রাসীরা বোমাবিধ্বস্ত সিরিয়া বা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মতো করে দিলো, তা আরও ভয়াবহ হতো সেনাবাহিনী যদি সময়মতো তাদের ওপর ন্যস্ত জাতীয় দায়িত্ব পালন না করতো।
তাণ্ডবের ভয়াবহতা দেখে এটি মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যারা এসব কর্মকাণ্ড করেছে তারা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি। যেসব স্থাপনার ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে তা ধ্বংস করেছে তা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি। এই স্থাপনাগুলোর গুরুত্ব ও খুঁটিনাটি সম্পর্কে তারা আগে থেকেই ওয়াকিবহাল ছিল। বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন বা ডাটা সেন্টার তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে তিন জন পুলিশ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন প্রায় দুইশত জন, যাদের মধ্যে যেমন আছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী তেমন আছে সরকারি দলীয় ছাত্রলীগের কর্মীরাও। একজন পুলিশ সদস্যকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে এই সন্ত্রাসীরা, যা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কল্পনাও করতে পারে না। সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ছিল ঢাকাকে শুধু সারা দেশ থেকে নয়, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, যে কারণে বিটিভিতে আর ডাটা সেন্টারে অগ্নিসংযোগ। কোনও একপর্যায়ে তারা যে গণভবনে হামলা করে আর একটি ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটাতো তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। হয়তো দখল হতো বঙ্গভবন আর সংসদ ভবন। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব তো রুহুল কবির রিজভী স্লোগান তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা কারাগারে আর তারা থাকবে সংসদে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে পুঁজি করে এই দেশদ্রোহীদের কর্মকাণ্ড সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। ৭৬ বছর বয়সী দেশের প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কত চড়াই-উতরাই পার হয়ে এত দূর এসেছে তা হয়তো মৌসুমি আওয়ামী লীগাররা জানে না। যে দলটি এতদিনে একটি শত বছরে পুরনো বটবৃক্ষের মতো শক্ত হওয়ার দরকার ছিল তা যে গত চার মেয়াদে টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে কত নড়বড় হয়ে গিয়েছে তা অনেকে উপলব্ধি করে না। দলটি বটবৃক্ষের বদলে বর্তমানে সাংগঠনিকভাবে হয়ে গিয়েছে একটি পুরনো ঘুণে ধরা মান্দার গাছের মতো। এই যে এত এত পরজীবী আওয়ামী লীগার রাতারাতি মুজিব কোট বানিয়ে গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হলেন, এই ক্রান্তিকালে তারা কোথায় ছিল? বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগ, নেতারা চলতে গেলে সামনে পিছনে ডজন ডজন মোটরসাইকেলের অ্যাসকর্ট থাকে সেই নেতাদের ভূমিকাই বা কী? হয়তো দলের প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের একটি প্রশ্ন সহজে পোঁছাবে না। তাদের একটাই প্রশ্ন- ‘আওয়ামী লীগে কি আর একজন সৈয়দ আশরাফ জন্ম নিবে না?’ ৭৯ বছরে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে এত ভঙ্গুর এর আগে কখনও দেখা যায়নি। বর্তমান দুর্যোগ বা ক্রান্তিকাল হয়তো একসময় কেটে যাবে, তবে বুঝতে হতে দেশের বিরুদ্ধে যারা সর্বদা ষড়যন্ত্র ও যুদ্ধে লিপ্ত তারা ক্লান্তিহীনভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। দলকে যদি দ্রুত সংস্কার করা না যায় তাহলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই দলটি ভেঙে পড়তে বেশি সময় লাগবে না। একজন শেখ হাসিনা আর কতদিক সামাল দিবেন?
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক
এসআর
মন্তব্য করুন: