শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের
ট্রাফিক সার্জেন্টসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আইন থাকলেই চলবে না—সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা শব্দদূষণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক নির্দেশনামূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী আইন প্রয়োগে বাংলাদেশ পুলিশকে সম্পৃক্ত করা এবং বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয় জোরদার করার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, শুধু জরিমানা আরোপ নয়, জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলাও সমানভাবে জরুরি। শব্দদূষণ বর্তমানে জনস্বাস্থ্য, শিশুদের মানসিক বিকাশ এবং নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে যানবাহনের হর্ন, নির্মাণকাজ, মাইক ব্যবহার এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির শব্দ নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিসুর রহমান।
২০২৪ সালের থার্টি-ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস নিষিদ্ধ করে সচেতনতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ট্রাফিক সার্জেন্টদের ব্যবহারের জন্য ৫০টি সাউন্ড মিটার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার একটি প্রতীকীভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন পরিবেশ উপদেষ্টা রাজেন্দ্রপুরে আয়োজিত লেড রিমেডিয়েশন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, লিড দূষণের উৎস চিহ্নিত করা এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে যথাযথ নজরদারি ছাড়া কারখানা স্থানান্তর করলে সমস্যা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যেতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।
তিনি জাতীয় পর্যায়ে একটি লেড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, উৎসভিত্তিক তালিকা তৈরি, সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং কঠোর পরিবেশগত যাচাইয়ের মাধ্যমে অংশীদারিত্বভিত্তিক উদ্যোগে লিডমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
এসআর
মন্তব্য করুন: