[email protected] শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
২৬ পৌষ ১৪৩১

কর্ণফুলী টানেলে দিনে আয় ১২ লাখ আর রক্ষণাবেক্ষন ব্যয় ৩৭ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫৮ পিএম

ফাইল ছবি

প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত কর্ণফুলী টানেল এখন ঘাড়ের ওপর বোঝা হয়ে উঠেছে।

বেশির ভাগ সময় টানেল থাকে ফাঁকা। নেই যানবাহনের চাপ। নির্মাণের আগে জরিপে ২০ হাজারের বেশি গাড়ি চলবে বলা হলেও এখন গড়ে দৈনিক সাড়ে চার হাজার গাড়ি চলছে।

দিনে গড়ে আয় হচ্ছে ১২ লাখ টাকার মতো। অথচ দিনে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। এর বাইরে চীনের ঋণ পরিশোধের দায় তো রয়েছেই। 

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরেই শুরু হয়েছে ঋণ পরিশোধ।

বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা টানেলের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন , ‘টানেলের উপযোগী সিস্টেম গড়ে ওঠেনি। পরিবহনব্যবস্থা না করে টানেল নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হলে এর পাশে নানা ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে।
এসব কারখানার পণ্যবাহী যানবাহন টানেলের ভেতর দিয়ে চলাচল করবে। যদি তা না হয়, টানেল একরকম অব্যবহৃত থেকে যাবে।’

শুধু কর্ণফুলী টানেলই নয়, ক্ষতির মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রকল্পও। ৩৯ হাজার কোটির পদ্মা রেল প্রকল্পেও লাভজনক হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মাতারবাড়ী ৫১ হাজার কোটির বিদ্যুৎ প্রকল্পে শুধুই অপচয় এবং দোহাজারী-ঘুমধুম রেলের সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকাও জলে গেছে।

পদ্মা রেল প্রকল্প
সড়ক যোগাযোগে পদ্মা সেতু বিল্পব ঘটালেও পদ্মা রেল সেতুর ৩৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ পুরোই জলে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

মাতারবাড়ী ৫১ হাজার কোটির বিদ্যুৎ প্রকল্পে শুধুই অপচয়
জ্বালানির নির্ভরযোগ্য সংস্থান ছাড়াই ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে মাতারবাড়ী এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা আমদানির অনিশ্চয়তায় যার উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর