বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘এআই:
উদ্ভাবন এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্রুতই বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবার চিত্র বদলে দিচ্ছে। পাকিস্তানের এআই গবেষক এবং কমস্যাটস ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদের একাডেমিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. হাম্মাদ ওমর মনে করেন, বাংলাদেশের বিশাল স্বাস্থ্য-তথ্যভান্ডার এআইভিত্তিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বিরল সুবিধা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য গবেষণা, স্বয়ংক্রিয় রোগনির্ণয়, বায়োমেডিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণ এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এআইয়ের যে দ্রুত অগ্রগতি, তা ভবিষ্যতের চিকিৎসা কাঠামোতে এ প্রযুক্তিকে অপরিহার্য উপাদানে পরিণত করেছে। রোগ শনাক্তকরণের নির্ভুলতা বৃদ্ধি, ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়ার অটোমেশন এবং রোগী ব্যবস্থাপনার উন্নত উপায় তৈরিতে এআই এখন অত্যন্ত কার্যকর।
ডা. ওমর মনে করেন, এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে গবেষণা সহযোগিতা, নীতি–সমন্বয় এবং দক্ষ জনবল তৈরিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তার মতে, দেশের স্বাস্থ্যতথ্যভান্ডারই হতে পারে বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবনের প্রধান ভিত্তি।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে দেশের সবচেয়ে বড় রোগীর ডেটা রয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ে গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং ক্লিনিক্যাল সেবায় এআই অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, আধুনিক চিকিৎসায় এআই শুধু প্রযুক্তি নয়— বরং অত্যাবশ্যক দক্ষতা। বিশেষ করে অনকোলজি ও রেডিওলজির মতো জটিল ক্ষেত্রে দ্রুত ও নির্ভুল রোগনির্ণয়ে এটি অপরিহার্য হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: