ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ তথ্য দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী দুই দফায় মোট ৮১টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর বেশি দেরি নেই। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের যেকোনো একদিন তফসিল ঘোষণা করা হবে। সময় হলে আপনারা জেনে যাবেন।”
তিনি আরও জানান, প্রতিটি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের মেয়াদ পাঁচ বছর দেওয়া হয়। এই সময়ে তারা একটি জাতীয় নির্বাচন এবং অন্তত চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পায়।
পর্যায়ক্রমে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে তিন ধরনের প্রতিবেদন ইসি গ্রহণ করে—
“তবে অতীতে পর্যবেক্ষকদের জমা দেওয়া প্রতিবেদন থেকে আমরা তেমন সুবিধা পাইনি,” মন্তব্য করেন তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, পর্যবেক্ষকদের বয়সসীমা কমিয়ে ২১ বছর করা হলেও এ বয়সে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক। তাই সংস্থাগুলোকে পর্যবেক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে হবে।
তিনি নিরপেক্ষতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “পর্যবেক্ষকদের শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
নির্বাচনসংক্রান্ত সব আইন, বিধিমালা, নিবন্ধন বাতিলের কারণ, অভিযোগ তদন্তের প্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এতে কাজের মান উন্নত হবে এবং ভুলভ্রান্তিও কমবে।”
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দক্ষ ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: