উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর ‘গণভোট অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পায়। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এ গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অভিমত নেওয়া হবে।
১) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় পুনর্গঠন।
২) দুই কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ গঠন। দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ থাকবে, এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে।
৩) সংবিধানের মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনসহ জুলাই জাতীয় সনদের ৩০টি বিষয়ের বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা।
৪) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকার অনুযায়ী বাস্তবায়ন।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী চারটি প্রস্তাব একত্র করে গণভোটে একটি প্রশ্ন উপস্থাপন করা হবে—জনগণ কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫-এর প্রতি সম্মতি প্রদান করছেন কি না।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রগুলোতেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাই গণভোট পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, গণভোটের বিধিমালা চূড়ান্ত করতে দুই-একদিন সময় লাগবে। বিধিমালা প্রস্তুত হলে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট—উভয়ের তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাদেশ জারির পর বুধবার কমিশনের বৈঠকে বসে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রস্তুত করা হবে।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন আশা করছে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: