[email protected] মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ভিসা জালিয়াতির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ১:৪৪ পিএম

যুক্তরাজ্য ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক অভিবাসন সেবা

প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করেছে। ভিসা আবেদনকারীদের সুরক্ষায় এ সংক্রান্ত একটি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটি। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারক চক্র ও অপরাধীদের ভিসা-সংক্রান্ত অবৈধ কার্যকলাপের কারণে প্রতি বছর ভিসা আবেদনকারীরা লাখ লাখ পাউন্ড আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুর্বল ও অসহায় মানুষকে লক্ষ্য করে এসব চক্র তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এতে আইনি প্রক্রিয়াও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসন সুবিধা এবং ভিসা জালিয়াতি বর্তমানে বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারক নেটওয়ার্কগুলো এখন আরও উন্নত কৌশল ব্যবহার করে ভিসা প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। অনেক ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের বলা হচ্ছে—অতিরিক্ত অর্থ দিলে নিশ্চিত ভিসা, দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ বা যোগ্যতা না থাকলেও চাকরি পাওয়া যাবে। বাস্তবে এসব প্রতিশ্রুতির ফল দাঁড়ায় আর্থিক ক্ষতি, আবেদন বাতিল, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কখনো কখনো মানবপাচার ও শারীরিক শোষণের মতো গুরুতর ঝুঁকি।

ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, যারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ বা অভিবাসনের জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নেওয়া উচিত এবং আবেদনও সরকারি সাইটের (www.gov.uk) মাধ্যমে করতে হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ভিসা জালিয়াতি মানুষের স্বপ্ন ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবারগুলোকেও বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মানুষের উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে ব্যবহার করে তাদের অর্থ হাতিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। তিনি বলেন, আমাদের মূল বার্তা হলো—সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করুন, সব তথ্য যাচাই করে নিন এবং সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড দেখলে জানান।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য বৈধ উপায়ে করা ভিসা আবেদনকে স্বাগত জানায়। তবে জালিয়াতির পথ বেছে নিলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, যার মধ্যে ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর