[email protected] রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

দেশ পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অক্ষুণ্ন থাকবে—বিশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ৬:১৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি

দেশ পুনর্গঠনের চলমান প্রক্রিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে গভীর আস্থা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শান্তিরক্ষী শহীদ পরিবারের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক ও বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তৃতার শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণ করেন এবং বলেন—
“তাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের সামনে দেশ পুনর্গঠনের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।”

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। ২৫ মার্চের কালরাত থেকে শুরু হওয়া প্রতিরোধ সংগ্রাম ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযানের মাধ্যমে পূর্ণতা পায়। এই সম্মিলিত বীরত্বই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিশ্চিত করেছিল।”

দেশের সাম্প্রতিক উত্তরণ ও পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন—
“জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বদা অগ্রণী। আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে।”

বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন—
“বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে আমরা বিশ্বাসী, তবে বহিঃআগ্রাসন প্রতিরোধে সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ জোরদারের কাজ ইতোমধ্যে গতিশীল।”

গত ৩৭ বছরে ৪৩টি দেশে ৬৩টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা জানান—
“বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম উন্নয়নে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করছে।”

অনুষ্ঠানের শেষে ড. ইউনূস সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে বলেন—
“উন্নয়ন, অগ্রগতি ও জাতি পুনর্গঠনের পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর