দীর্ঘ ছয় বছর বন্ধ থাকার পর সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপে আবারও গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।
প্রাথমিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে, কূপটিতে প্রায় ২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে। প্রতিদিন ৫০–৬০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে, যা প্রায় ১০ বছর ধরে উত্তোলন করা যাবে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে এসব তথ্য দেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল প্রামাণিক।
কৈলাশটিলা-১ কূপটি খনন করা হয় ১৯৬১ সালে। প্রথমদিকে ছয়টি স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং ১৯৮৩ সাল থেকে উত্তোলন শুরু হয়। সর্বশেষ চতুর্থ স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় ২০১৯ সালে কূপটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
কূপটির নতুন এক গভীর স্তরে—প্রায় ২,২০০ মিটার নিচে—গ্যাস পাওয়া গেছে, যেখান থেকে আগে কখনো গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালে সরকার পুরোনো কূপগুলো পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নেয়। কৈলাশটিলা-১সহ তিনটি কূপের জন্য প্রায় ২২০ কোটি টাকার ওয়ার্কওভার প্রকল্প হাতে নেয় বাপেক্স।
গত ১২ আগস্ট এই কূপে ওয়ার্কওভার শুরু হয় এবং প্রায় তিন মাসের কাজ শেষে ১২ নভেম্বর প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হয়।
বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির বর্তমান দামের ভিত্তিতে ২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করলে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
উদ্যোক্তা জানান, কূপটি পুরোনো হওয়ায় আগে থেকেই প্রসেসিং প্লান্টের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। ফলে আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।
কৈলাশটিলা-১ কূপ পুনরায় সচল হওয়ায় দেশের গ্যাস উৎপাদন ব্যবস্থায় বড় ধরনের স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: