৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী
দিবস আগামী ৩ ডিসেম্বর সারা দেশজুড়ে, রাজধানী ঢাকাসহ, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হবে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে পাঁচটি পৃথক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে, যেখানে ১০ জন সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ মোট কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচি ও পুরস্কারবিষয়ক তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, পুরস্কার প্রদানের পাঁচটি বিভাগ হলো—
১০ জন সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
প্রতিবন্ধিতা মোকাবিলায় কাজ করা ৩ জন ব্যক্তি
একই ক্ষেত্রে কাজ করা ৩টি প্রতিষ্ঠান
দুইজন সফল পিতা-মাতা
এবং দুইজন দক্ষ কেয়ারগিভার।
৩ ডিসেম্বরের মূল অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (জেপিইউএফ) ক্যাম্পাসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এবারের জাতিসংঘ ঘোষিত প্রতিপাদ্য বাংলায়— “প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি।”
দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্ক্রলে প্রতিপাদ্য প্রচার করা হবে। মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমেও সচেতনতা বার্তা পাঠানো হবে। জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ পাবে।
উৎসবকে কেন্দ্র করে জেপিইউএফ প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন রয়েছে। সেখানে প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তারা নিজেরা তৈরি করা নানা পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন, পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও সুযোগ তৈরি হবে।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, মেলায় অংশগ্রহণকারীরা নিজস্ব উদ্যমে দেশের ঐতিহ্যবাহী সোনালি আঁশের নতুন নকশা থেকে শুরু করে গ্রামীণ জীবনের কারুশিল্পের সৃজনশীল দিকগুলো নতুনভাবে তুলে ধরবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: