[email protected] রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মালয়েশিয়ার ১০ শর্ত ও ফখরুলের মামলা প্রত্যাহারের দাবি বায়রা সমন্বয় ফ্রন্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৭:১৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আরোপিত ‘অবাস্তব ও সিন্ডিকেটনির্ভর’ ১০টি শর্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট।

মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে আরোপিত ‘অবাস্তব ও সিন্ডিকেটনির্ভর’ ১০টি শর্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট

একই সঙ্গে সৌদি আরবে পূর্বের নিয়মে ভিসা সত্যায়ন ছাড়াই ২৪টি পর্যন্ত বহির্গমন ছাড়পত্র পুনর্বহাল এবং বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ দাবি করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন বায়রার সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এন এ এইচ সেলিম।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট, অনিয়ম ও বাড়তি অভিবাসন ব্যয়ের সমস্যা বিদ্যমান। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও পূর্ববর্তী সরকারের ধারাবাহিকতায় কিছু উপদেষ্টার ‘নতজানু ও অপেশাদার’ কূটনৈতিক আচরণের কারণে মালয়েশিয়ার প্রস্তাবিত ১০টি শর্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তার মতে, এসব শর্ত বাস্তবসম্মত নয় এবং কয়েকটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষায় সহায়ক হবে। ফলে অধিকাংশ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমবাজার থেকে বাদ পড়তে পারে।

সেলিম বলেন, নেপাল ইতোমধ্যে একই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে—বাংলাদেশেরও উচিত অনুকূল কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে বৈধ সব এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, আসন্ন বায়রা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেটচক্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গায়েবি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করছে।

এর অংশ হিসেবেই গত ৪ অক্টোবর বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামসহ দুই এজেন্সি মালিকের নামে একটি মামলা করা হয়।

সেলিম দাবি করেন, এ মামলায় যাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তারা কেউই ফখরুলের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাননি; বরং সিন্ডিকেট-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান মাধ্যমেই গেছেন।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন—বায়রা নির্বাচন সামনে রেখে আরও গায়েবি মামলা দেওয়া হতে পারে।

এ ধরনের ‘ষড়যন্ত্র’ বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর