মালয়েশিয়া জানিয়েছে যে তারা বাংলাদেশি কর্মী নিতে চায় মূলত
কয়েকটি বড় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশ সরকার বলেছে—এই সীমাবদ্ধতা না রেখে যত বেশি সম্ভব এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী গ্রহণের জন্য যেসব ১০টি শর্ত দিয়েছে, তার কয়েকটিতে বাংলাদেশ জোরালো আপত্তি জানিয়েছে। সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধও করা হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দেখা গেছে—বেশিরভাগ শর্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এসব শর্ত মানতে গেলে আবারো সিন্ডিকেট তৈরি হবে, যা বাংলাদেশ চায় না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, কয়েকটি বড় এজেন্সির কাছে সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকলে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সকল এজেন্সির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শর্তগুলো শিথিল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে।
তিনি বলেন, শর্তগুলো সহজ না হওয়া এবং শ্রমবাজার বৃহত্তর পরিসরে উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে আলোচনামূলক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
এদিন ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর সহায়তায় নির্মিত ‘ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্ম’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: