লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর
জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার অবৈধ অভিবাসন রোধ, মানবপাচার দমন এবং ডিটেনশন সেন্টার ও কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন।
১৭ নভেম্বর (সোমবার) সফরের অংশ হিসেবে তিনি লিবিয়ার অবৈধ অভিবাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সালাহ মাহমুদ আল-খাফিফির সাথে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, আইওএমের বেনগাজী প্রতিনিধিরা এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূত লিবিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে মানবপাচার, অপহরণ ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত বাংলাদেশি নাগরিকদের আটক ও আইনগত প্রক্রিয়ায় আনার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এসব অপরাধ দমনে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন। মানবপাচারচক্রে জড়িতদের শনাক্ত করে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনার সরকারি নীতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনি। পাশাপাশি লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ ধরনের অপরাধে জড়িত বাংলাদেশিদের চিহ্নিত ও আটককরণে অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি জানান, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাস প্রস্তুত আছে। নতুন করে কোনো বাংলাদেশি আটক হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে দূতাবাসকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি। দূতাবাস দ্রুততম সময়ে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু ও প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বলেও আশ্বাস দেন। উভয়পক্ষ পরবর্তী সময়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়।
এ ছাড়া, রাষ্ট্রদূত বেনগাজীর আল-কুইফা কারাগারের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি আটক বাংলাদেশিদের আইনগত অগ্রগতি, নিরাপত্তা, খাদ্য ও চিকিৎসাসহ সামগ্রিক কল্যাণ নিয়ে আলোচনা করেন। পরিদর্শনকালে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেন এবং দূতাবাসের পক্ষ থেকে আইনগত সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
এসআর
মন্তব্য করুন: