মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ।
এই চিঠি দুইটি পৃথক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তোয়াহিদ হোসেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তাদের ফেরত আনতেই হবে। আদালত শাস্তি দিয়েছেন, তাই আমরা ভারতকে অফিসিয়ালি জানাব।”
তোয়াহিদ হোসেন জানান, চিঠি পাঠানোর দুটি পথ রয়েছে—
১. অফিসিয়াল নোট স্থানীয়ভাবে ভারতের মিশনের কাছে হস্তান্তর করা
২. বাংলাদেশি মিশনের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নোট হস্তান্তর করা
তার ভাষায়, “আমরা চাইলে দুই প্রক্রিয়াই একসঙ্গে করতে পারি।”
রায় ঘোষণার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’ অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কোনো বিদেশি দেশে আশ্রয় দেওয়া হলে তা হবে “অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞা”।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকারের উচিত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা।
বিবিসি জানায়, এর আগেও বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে একাধিকবার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানালেও কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বারবার জানিয়েছেন—চিঠি দেওয়া হয়েছে, তবে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক জবাব মেলেনি।
এসআর
মন্তব্য করুন: