বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং জনগণের
যোগাযোগ আরও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতারা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুয়ালালামপুর রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই-কমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান, চেম্বারের সাবেক সভাপতি, ব্যবসায়ী নেতারা এবং কয়েকজন কূটনীতিক।
মালয়েশিয়ার হাই-কমিশনার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক গত কয়েক বছরে দৃঢ় হয়েছে। আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের কুয়ালালামপুর সফরে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং দেশটিতে প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া, মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবা বাংলাদেশি চিকিৎসাপ্রার্থীদের জন্য নতুন গন্তব্য হতে পারে। হালাল পণ্যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগও তিনি উল্লেখ করেন।
চেম্বার প্রশাসক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বিদ্যমান। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া বাংলাদেশে ২০৬.৬ মিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে মাত্র ৩৮.২ মিলিয়ন ডলার। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অন্যান্য শিল্প খাতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ভোজ্যতেল বাজারে মালয়েশিয়ার পাম তেলের চাহিদা রয়েছে। এছাড়া তারা আশিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি, ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং রাবার ও শিপিং খাতে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুয়ালালামপুর সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর জোর দেওয়া হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: