মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণায় আসামি নারী হওয়ায় কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।
তিনি বলেন, রায় কেবলমাত্র অভিযোগের প্রমাণ ও অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করেই দেওয়া হবে। জনগণের সামনে রায়ের স্বচ্ছতা তুলে ধরতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৬ নভেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পুরো অনুষ্ঠান বিটিভি এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
রায়ে নারী হওয়ার ভিত্তিতে কোনো ছাড় পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর তামিম বলেন—
“সাধারণ আইনে জামিনের ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ ব্যক্তি ও কিশোররা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। তবে রায় প্রদানের ক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ—কাউকেই আলাদা সুবিধা দেওয়া হয় না। অপরাধের তীব্রতা বিবেচনাই এখানে মূল বিষয়।”
তিনি আরও বলেন:
“রায় দেওয়ার সময় আসামি কে, তা নয়—তিনি কী অপরাধ করেছেন, সেটিই বিবেচ্য। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে খালাস, আর প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি।”
রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করে।
একইদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছে এবং আদালতের সুবিবেচনার ওপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: