রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন নতুন চারটি কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও দেশ-বিদেশের বরেণ্য আলেমরা। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া সম্মেলন দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে।
সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, “কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।”
ঘোষিত নতুন চার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—
সম্মেলনে বক্তব্যকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। যারা রাসুলুল্লাহকে (সা.) স্বীকার করে না, তাদের বাংলাদেশে মুসলিম হিসেবে গণ্য করা হবে না।”
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে দেশ বা মুসলিম বিশ্বে কোনো দ্বিমত নেই।”
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদ। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানি, সৌদি আরব ও মিসরের বিশিষ্ট আলেমরা সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মধ্যে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, দারুল উলুম হাটহাজারীর অধ্যক্ষ মাওলানা খলিল আহমদ কুরাইশী, আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক।
এসআর
মন্তব্য করুন: