[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৯ কার্তিক ১৪৩২

গণভোটের চার প্রশ্নে কী আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ৪:০৬ পিএম

সংগৃহীত ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

গণভোটে একটিমাত্র প্রশ্নের মাধ্যমে ভোটাররা চারটি মূল বিষয়ের প্রতি তাদের মতামত— ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’— দিয়ে জানাবেন। গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যদি হ্যাঁ হয়, তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেন,
“জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনযোগ্য প্রশ্ন নির্ধারণ করেছি। প্রশ্নটি হবে— আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫ এবং সেখানে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”

এরপর তিনি গণভোটে উপস্থাপিত চারটি মূল প্রস্তাব তুলে ধরেন—

গণভোটের চারটি মূল বিষয়:

ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে। ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ— এসব বিষয়ে জুলাই সনদে দলগুলোর ঐকমত্যে গৃহীত ৩০টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“গণভোটে এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে।”

তিনি আরও জানান, পরিষদটি একই সঙ্গে সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবে এবং তার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর