[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৯ কার্তিক ১৪৩২

শিশুদের প্রযুক্তি, খেলাধুলা ও উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় যুক্ত করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিশুদের রচনা, প্রযুক্তি, খেলাধুলা ও উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।

আনন্দ ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে তারা যেন নিজের মেধা ও সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করতে পারে— সে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “শিশু-কিশোররা গান গাইতে পারে, নাচতে পারে, বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে— এটা খুবই ভালো। কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক কিছু করার আছে। শুধু এক ধরনের প্রতিযোগিতায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রযুক্তি, রচনা, খেলাধুলা ও উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতায়ও তাদের যুক্ত করা উচিত। আনন্দের মধ্য দিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করা— এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই কোনো না কোনো প্রতিভা আছে। এক ধরনের মানদণ্ডে মাপলে অনেকেই বাদ পড়ে যায়, কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যাবে— সবাই কোনো না কোনো জায়গায় এগিয়ে আছে। এই বোধটাই শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।”

বিজয়ী শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা আজ বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে এখানে এসেছো, এটি একটি বড় অর্জন। এই সাফল্য তোমাদের আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। প্রতিটি প্রতিযোগিতাই হলো নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের একটি সুযোগ।”

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ভবিষ্যতে শিশু-কিশোরদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন, রান্না, বিজ্ঞান বা ব্যবসায়িক ধারণা– এসব নিয়েও প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে। “আমি ভালো গায়ক না হতে পারি, কিন্তু ভালো বিজ্ঞানী বা উদ্যোক্তা হতে পারি— এই উপলব্ধিটাই গুরুত্বপূর্ণ,”— বলেন তিনি।

দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানে প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের শিশু-কিশোররা দীর্ঘ পথ চলার জন্য প্রস্তুত। তারা দেশের সেরা তো বটেই, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে। এজন্য আমাদের তাদেরকে বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর