কোনো শক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি বা বিদেশি কোনো শক্তিই এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, জামায়াতে ইসলামীও তাদের মতো করে প্রার্থী দিচ্ছে। মতভেদ থাকলেও সবাই অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন চায়। খুব সুন্দর, ফ্রি, ফেয়ার ও ইনক্লুসিভ একটি ইলেকশন দেখতে পাবেন, যেখানে জনগণের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্বাচনের মতোই এবারও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের সবাই মিলে ভোটকেন্দ্রে যাবে, গ্রামাঞ্চলে ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকবে আনন্দঘন পরিবেশ। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে এবার।”

রাজনৈতিক মতভেদের প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “রাজনীতিতে মতভেদ থাকবেই। আমরা এটাকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছি না। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো নয় মাস ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছে। আশা করছি, বাকি মতবিরোধও শিগগিরই দূর হবে। সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে।”

শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত সারা দেশে সাতটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ডেমরায় একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে, তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। ময়মনসিংহে একজন বাসচালককেও ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী চরিত্রেরই প্রমাণ।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যেই কিংবা তারও আগে ভোট হবে। “ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চারটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা দেখেছি, ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে—জনগণ নির্বাচনের জন্য উদ্‌গ্রীব,” যোগ করেন প্রেস সচিব।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল হোসেন, ওসি মো. হিলাল উদ্দিন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রমুখ।