দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে টিটিপাড়া আন্ডারপাস সব ধরনের
যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে এটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন সকালে আন্ডারপাসটি পরিদর্শন করেন এবং চালু করার নির্দেশ দেন।
রাজধানীর অতীশ দীপঙ্কর রোড ও কমলাপুর আউটার সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলে এই আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হয়েছে। আগে এখানে ছিল ব্যস্ত একটি লেভেল ক্রসিং, যা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করত। ট্রেন চলাচলের কারণে যানজট ও জনভোগান্তি বেড়ে যাওয়ায় সেটিকে আন্ডারপাসে রূপান্তর করা হয়।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছরের নির্মাণকাজ শেষে তৈরি হয়েছে আধুনিক এই অবকাঠামো। এর মধ্যে চার লেন থাকবে মোটরযানের জন্য, দুই পাশে রিকশা ও সাইকেল চলাচলের আলাদা পথ এবং প্রশস্ত ফুটপাতও রয়েছে পথচারীদের জন্য। পাঁচ মিটার উচ্চতার যানবাহন অনায়াসে চলাচল করতে পারবে নিচ দিয়ে।
নির্মাণকাজের সীমিত জায়গা ও গভীরতা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ— জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, “এখানে কোনো বাইপাস সড়ক করা সম্ভব হয়নি, কারণ স্থান সংকটের পাশাপাশি গভীরতাও বেশি ছিল। ফলে প্রকল্পটি নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের দিক বিবেচনায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে।”
রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। “আন্ডারপাসটি সচল রাখতে রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশনসহ একাধিক সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন,” বলেন তিনি।
বৃষ্টির মৌসুমে পানি জমা এড়াতে এখানে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা। প্রকৌশলী নীলাকর বিশ্বাস জানান, আলাদা একটি ‘রেইনওয়াটার পাম্প ওয়েল’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ৭৫ কিলোওয়াট ক্ষমতার চারটি স্বয়ংক্রিয় পাম্প রয়েছে। এসব পাম্প আন্ডারপাসের পানি সংগ্রহ করে সিটি কর্পোরেশনের নিকটবর্তী ক্যানেলে পাঠাবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, “আজ সকাল থেকে টিটিপাড়া আন্ডারপাসটি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি এখন সম্পূর্ণভাবে চালু।”
এসআর
মন্তব্য করুন: