এলাকা পরিবর্তনে ভোটারদের জন্য বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির সুযোগ আর না থাকলেও, বর্তমান ভোটারদের এলাকা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের বিশেষ সুযোগ দিয়েছে কমিশন।

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ভোটার ঠিকানা পরিবর্তন করে অন্য এলাকায় ভোটার হতে চাইলে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন অনুমোদন বা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক চিঠি দেশের সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি ইসি সচিবালয়সহ মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়,

“ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার পূর্বে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির সময়সূচি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ১৩ নম্বর ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

এদিকে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন সম্পর্কেও আলাদা নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। মাঠপর্যায়ে পাঠানো আরেক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের সব আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। মঙ্গলবার ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খান আবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত এই চিঠি সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, তাদের আবেদন সিএমএস পোর্টালের এনআরবি মেনুতে পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনপত্র ও সংযুক্ত দলিলাদি প্রিন্ট করে সরেজমিন তদন্ত সম্পন্ন করবেন।

এছাড়া, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জমা দেওয়া সব প্রবাসী নাগরিকের আবেদন ৬ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ১ সেপ্টেম্বরের পর জমা দেওয়া আবেদনে ডকুমেন্ট সংযুক্ত না থাকলে, প্রতিবেদন ছকে ‘ডকুমেন্ট সংযুক্ত নেই’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। পরে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিলে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

সব তদন্ত শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিবেদন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।