[email protected] বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
২১ কার্তিক ১৪৩২

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত অঞ্চল’ আখ্যা, সরকারের কঠোর প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫ ৯:২৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘পশ্চিম তীর’ বা অন্য কোনো অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে তুলনা করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সরকার বলেছে, এ ধরনের তুলনা ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার চরম বিকৃতি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সরকারি বিবৃতিতে এ অবস্থান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং এটি সবসময় বেসামরিক কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সেখানে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে, যা কোনোভাবেই সামরিক শাসন বা দখলদারিত্বের প্রতিফলন নয়।

সরকার আরও জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে কোনো বিদেশি অধিকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা শুধু তথ্যগত ভুলই নয়, বরং এটি পার্বত্য জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সার্বিক জাতিসত্তার প্রতি অবমাননাকর।

বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার রক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং পার্বত্য অঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। যেকোনো মানবাধিকারসংক্রান্ত অভিযোগে প্রমাণভিত্তিক ও যাচাইযোগ্য প্রতিবেদনকে সরকার স্বাগত জানায়, তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নির্যাতনের কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে। তবে সংবেদনশীল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেদন তৈরির সময় তথ্যনির্ভরতা, পেশাদারিত্ব ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা প্রত্যাশা করি, গণমাধ্যম ও সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় বাস্তবতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাবে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি নিউজপোর্টালের ফটো স্টোরি ও নিবন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত’, ‘সামরিকীকৃত’ বা ‘সামরিক শাসনাধীন’ অঞ্চল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর