[email protected] সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
১৯ কার্তিক ১৪৩২

এবারও প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০৫ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তির তালিকা।

জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তির তালিকা। 

দ্য মুসলিম ৫০০: ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস ২০২৬’ শিরোনামের এ তালিকায় এবারও স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ড. ইউনূস রয়েছেন ৫০তম অবস্থানে। তালিকায় তাকে Interim Prime Minister of Bangladesh (বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরও তিনি একই অবস্থানে ছিলেন।

এ বছরের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি, আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েমেনের সুফি আলেম শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজ।

শীর্ষ দশে আরও রয়েছেন—
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি (৪র্থ),
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় (৫ম),
আল-আজহারের গ্র্যান্ড শেখ ড. আহমদ আল-তায়্যিব (৬ষ্ঠ),
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান (৭ম),
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ (৮ম),
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান (৯ম)
এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম (১০ম)।

‘দ্য মুসলিম ৫০০’ তালিকাটি ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশ্ব মুসলিম সমাজে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের প্রভাবের ভিত্তিতে প্রণীত হয়।
এ বছর তালিকা প্রণয়নে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিং।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর