[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

হাসিনার মুখে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ৮:৩২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের পর নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ভারতের নয়াদিল্লিতে নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনা বুধবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন—যেমন রয়টার্স, এএফপি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ থেকে বাদ দিলে দলটির লাখ লাখ সমর্থক নির্বাচন বয়কট করতে পারে। এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, একটি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য কেউ ভোটাধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে পারবে না।

তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই মন্তব্যকে সমর্থন করছেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট দেবে না দেবে তা বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অধিকার, এবং কেউ তা সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দলটির অন্য নেতা হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচন বয়কট করে, তবে তা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ বলেন,

“প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি যে সব নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, সেগুলো ভোটাধিকার হরণের নিকৃষ্ট নজির সৃষ্টি করেছে। এখন এ ধরনের মন্তব্য তার মুখে শোভা পায় না।”

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন সকলের আকাঙ্ক্ষিত হলেও, শেখ হাসিনা গত তিনটি নির্বাচনে তা প্রহসনের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন,

“গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেসময় যারা অন্যায়-অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সাধারণ সমর্থকরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলে যুক্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের মন্তব্য যৌক্তিক নয়।”

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, কোনো সন্ত্রাসী বা অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত সংগঠনকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যায় না। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন বলেন, দেশের মানুষ যদি ভোটের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তবেই নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর