প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জন্য আসছে সুখবর।
এখন থেকে তারা আরও বেশি আর্থিক ক্ষমতা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
তিনি বলেন, আগে প্রধান শিক্ষকরা ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন, এখন তা বাড়িয়ে তিন লক্ষ টাকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কীভাবে তারা আর্থিকভাবে আরও ক্ষমতাবান হতে পারেন— সে দিকেও কাজ চলছে।
“নির্মাণ বা মেরামতের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর আবশ্যক হবে। দুজনের প্রত্যায়ন ছাড়া কোনো বিল দেওয়া হবে না,” বলেন মহাপরিচালক।
তিনি সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিক্ষকদের আরও ক্ষমতায়ন করা সম্ভব হবে। সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে নির্মাণ ও সংস্কার কাজের জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন,
“এই প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে জরাজীর্ণ কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না।”
প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে অধিদপ্তর ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্কুলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল সরবরাহ শুরু করেছে।
মহাপরিচালক জানান,
“আমরা ইতোমধ্যে তিন হাজার স্কুলে ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল বিতরণের পর্যায়ে আছি। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে এটি পৌঁছে যাবে। ক্রমান্বয়ে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ডিজিটাল শিক্ষার সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শেখার সুযোগ পাবে। আমাদের উদ্যোগগুলো সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও অনুপ্রেরণাদায়ক পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারবে।”
এছাড়া বর্তমানে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত থাকলেও তা পুনর্গঠন ও সংস্কারের প্রক্রিয়া পরবর্তীতে শুরু করা হবে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এসআর
মন্তব্য করুন: