ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামীকাল (সোমবার) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের অতিরিক্ত তথ্য পর্যালোচনা চলছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই নিবন্ধন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,
“বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদল আরপিও অনুযায়ী নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে, পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
আখতার আহমেদ জানান, কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল ইসির কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা নির্বাচন প্রস্তুতির সার্বিক অগ্রগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, বিদেশি পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণ এবং কনডাক্ট রুলস–সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধি দল ওভারসিজ ভোটারদের অংশগ্রহণ, হাইব্রিড সলিউশন ব্যবহারের পরিকল্পনা এবং নির্বাচনসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে। এসব বিষয়ে কমিশনের কার্যক্রম ও আইনগত কাঠামো তাদের জানানো হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন,
“নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। মাঠপর্যায়ে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ জনের একটি টিম দায়িত্বে থাকবে, বাইরের নিরাপত্তা দেখবে প্রশাসনিক পুলিশ।”
তিনি আরও জানান, প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যবহার, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডিসইনফরমেশন মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন,
“সবকিছু শতভাগ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা সম্ভব হয় না। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কিছু জায়গায় সমন্বয় করতে হয়। কিছু কাজ আগেই শেষ হয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”
শনিবার রাতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন,
“এটি পুলিশের বিষয়। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কনফাইন করেছে। মামলা করতে হলে ইসির পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।”
এসআর
মন্তব্য করুন: