[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
৮ কার্তিক ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: নির্বাচন, সংস্কার ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, নির্বাচন প্রস্তুতি, সংস্কার উদ্যোগ এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদী।

রাষ্ট্রদূত ড. লোটজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জার্মানির সমর্থন জানিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন,

“বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে—এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক।”

তিনি সরকারের সংস্কার উদ্যোগ ও জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করে বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা সত্যিই আনন্দদায়ক। নির্বাচনের পরও এ ধরনের সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।”

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,

“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের উদ্যোগটি ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি জাতীয় ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক এবং নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।”

তিনি আরও জানান, “সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও আনন্দমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লোটজ জানান, জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময় বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে স্বাগত জানান।

এছাড়া তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ও এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

প্রফেসর ইউনূস বলেন,

“ইউরোপে জার্মানি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও প্রসারিত হবে বলে আমরা আশা করি।”

তরুণ প্রজন্মের শক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,

“প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তরুণদের মতপ্রকাশ ও সচেতনতা বৃদ্ধির নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তারা এখন অন্যায় চিহ্নিত করতে ও পরিবর্তনের আহ্বান জানাতে সক্ষম।”

তবে তিনি ভুয়া তথ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন,

“ভ্রান্ত তথ্য বা মিথ্যা প্রচারণা আসন্ন নির্বাচনের আগে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর