বাংলাদেশে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বুধবার।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষর করেন কনভেনশনগুলোর অনুসমর্থন পত্রে।
এই সময় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আজকের দিনটি বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।”
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া, বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
স্বাক্ষরিত কনভেনশনগুলো হলো:
এর মধ্যে কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ আইএলও’র মৌলিক কনভেনশন। ২০২২ সালে এ দুটি কনভেনশনকে আইএলও মৌলিক হিসেবে গ্রহণ করেছে।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি স্মরণ করে বলেন, “রানা প্লাজার পর তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও বাস্তবে কিছু হয়নি। শুধু ‘হচ্ছে, হবে’ বলে কথাবার্তা চলছিল। আমরা বলেছিলাম, ‘হচ্ছে-হবে নয়, আমরা করব।’”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল শ্রম অধিকারের বাস্তবায়ন। একাধিক বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করেছি, প্রতিশ্রুতি কেবল লিখিত নয়, বাস্তবায়নও হবে। স্বাক্ষর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ, কিন্তু আসল কাজ এখানেই শুরু হয়েছে। কনভেনশনগুলোর বিষয়বস্তু ও শ্রমিকদের অধিকার সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে, এবং সবাইকে সচেতন করতে হবে।”
প্রফেসর ইউনূস সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যোগ করেন, “আমরা দীর্ঘ যাত্রার পর গন্তব্যে পৌঁছালাম, কিন্তু এখন থেকে দায়িত্বের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: