অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
দুই ধাপে মূল বেতনের মোট ১৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
“আজকের দিনটি শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। শিক্ষকদের জন্য ন্যায্য সমাধান নিশ্চিত করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। শিক্ষকরা আরও সম্মান ও মর্যাদার দাবিদার, আর রাষ্ট্রের উচিত তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবিচল থাকা।”
তিনি আরও বলেন,
“এই পথ সহজ ছিল না—নানা মতভেদ, বিতর্ক ও অভিযোগ ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় নেপথ্যে থেকে প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে যাতে শিক্ষকদের দাবি শোনা ও বোঝা হয়। এটি কারও একার নয়, বরং যৌথ সাফল্য।”
সি. আর. আবরার আরও যোগ করেন,
“শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আজ সম্মান, সংলাপ ও সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় শিক্ষার্থীদের কাছে ফেরার—আমাদের আসল দায়িত্বের জায়গায়।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন,
“পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে গুণগত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা আরও মর্যাদাসম্পন্ন স্থানে নিয়ে যেতে পারব।”
উল্লেখ্য, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা। চলমান কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজীসহ ছয়জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন, জানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আদনান হাবিবুর রহমান।
এসআর
মন্তব্য করুন: