জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে কিছু গণমাধ্যম—এমন অভিযোগ করেছেন লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিহত জোবায়েদের জানাজা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন,
“গণমাধ্যমের কিছু তথ্য বিভ্রান্তিকর। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। সঠিক তথ্য আমাদের কাছে আছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছি। আশা করছি, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টার মধ্যে একটি সুসংবাদ দিতে পারব। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সময় লাগলেও প্রকৃত ঘাতকদেরই আমরা গ্রেপ্তার করব। তাদের ধরতে পারলেই জানা যাবে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না।”
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন,
“জোবায়েদের বড় ভাই সৈকত ৪৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন—কিন্তু জোবায়েদ সে খুশির খবর শুনে যেতে পারল না। আমরা দ্রুত প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দেখতে চাই। কোনো ফাঁকফোকর যেন না থাকে, এটাই আমাদের দাবি।”
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন বলেন,
“আমরা আগামী দুই দিন শোকসভা ও শোকর্যালি পালন করব। ১০ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি—এর মধ্যে অগ্রগতি না হলে নতুন কর্মসূচি দেব। আমার শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তার জবাবদিহি করতে হবে। আমরা এক মুদ্রা পরিমাণ ছাড় দেব না।”
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরু থেকেই ঘটনাটির পাশে আছে। প্রকৃত দোষী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব এবং পুলিশের সঙ্গে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।”
এর আগে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডে টিউশনি করতে গিয়ে বাসার নিচে ছুরিকাঘাতে নিহত হন জোবায়েদ হোসাইন। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনি তিন তলায় পড়ে যান এবং সেখানেই মারা যান।
পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জোবায়েদের মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: