মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দেশে তিনটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে—রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে, চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি শিল্পকারখানায়, এবং সবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এসব ঘটনায় জনমনে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সরকার নাগরিকদের শান্ত ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়—
“অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জনগণের উদ্বেগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।”
সরকার আরও জানায়,
“যদি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানিমূলক আচরণকে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না।”
বিবৃতিতে জাতীয় ঐক্য ও ধৈর্যের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়—
“যদি এসব অগ্নিকাণ্ড কোনো সংগঠিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আতঙ্ক ও বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের যুক্তি ও দৃঢ়তার ওপর প্রভাব ফেলতে দেব। বাংলাদেশ অতীতেও বহু সংকট মোকাবিলা করেছে—এ দেশ ঐক্য, শান্ত মনোভাব ও দৃঢ় সংকল্পে যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করতে সক্ষম।”
শেষে নাগরিকদের উদ্দেশে উদ্ধৃত করা হয় বিখ্যাত উক্তিটি—
“আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই; ভয় নিজেই একমাত্র ভয়ের বিষয়।”
সরকারের এই বিবৃতির মাধ্যমে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও আতঙ্ক প্রশমিত করার পাশাপাশি জনগণকে শান্ত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: