বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)সহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ যাচ্ছে না।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে কমিশন চূড়ান্ত সনদের বই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করে।
একইসঙ্গে অঙ্গীকারনামার পঞ্চম ধারা সংশোধনের বিষয়েও জানানো হয়। সংশোধিত সনদের পিডিএফ কপি অংশগ্রহণকারী দলগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সনদে প্রতিটি প্রস্তাবের পাশে দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দলগুলো নির্বাচনে বিজয়ী হলে তাদের ইশতেহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদের খসড়া পাঠায়। তাতে প্রস্তাব করা হয়েছিল—সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি-সংক্রান্ত ১৫০(২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এ প্রস্তাবে নয়টি দল দ্বিমত পোষণ করে।
পরে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ সনদে স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দেয়। তাদের অন্যতম আপত্তি ছিল—স্বাধীনতার ঘোষণা বাদ দেওয়ার সুপারিশ।
তাদের আপত্তির পর চূড়ান্ত সনদে সংশোধন আনা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে, তবে পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে সংযোজিত হয় পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল।
জুলাই সনদের সংস্কার অনুযায়ী, ভবিষ্যতে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা তফসিল থেকে বাদ পড়বে, তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে বহাল থাকবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,এর মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতার পথে যাত্রা শুরু করেছি।
এসআর
মন্তব্য করুন: