[email protected] রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
৪ কার্তিক ১৪৩২

জুলাইযোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১০:০২ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ‘জুলাইযোদ্ধাদের’ এবং পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাস্থলে কোনো কিছুক্ষতি কিংবা সংঘর্ষের সূত্রপাত হিসেবে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে; পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং লাঠিপেটা করে বলে যৌথভাবে জানানো হয়েছে।

এই হাতাহাতির প্রতিবাদে এবং তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের প্রতিটি জেলা শহরের মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে জুলাইযোদ্ধারা। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন জুলাইযোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা সৌরভ।

সৌরভ বলেন, “আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ওপর এই নির্যাতন ও হামলার প্রতিবাদ জানাতে এবং সরকারই আমাদের তিন দফা বাস্তবায়ন করবে—এই আশায় আমরা রবিবার মহাসড়ক অবরোধ করব।” তিনি জরুরিভাবে দাবি করেন—(১) জুলাই শহীদদের “জাতীয় বীর” ও আহতদের “বীর” হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া, (২) আহত ও শহীদ পরিবারদের জন্য পুনর্বাসনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার ব্যবস্থা এবং (৩) তাদের জন্য দায়মুক্তি নিশ্চিত করে সুরক্ষা আইনের বিধান রাখা যাতে মামলা-হয়রানি বন্ধ থাকে।

মাসুদ রানা অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তাদের দাবিগুলি চূড়ান্ত খসড়ায় انع্বিত হয়নি; আলোচনার জন্য সরকার বা প্রশাসন সময় না দিয়ে পূর্বপদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিম পাশ থেকে হামলা ও লাঠিচার্জ শুরু করে। তিনি বললেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিই—প্রশাসন আমাদের নিজস্ব আলোচনা করার মাত্র তিন মিনিটও দেননি। তারা হলো–অবস্থান ভাঙ্গতেই এল।”

জুলাইযোদ্ধা সংসদের বক্তব্যে আরও বলা হয়, আলী রীয়াজের কিছু বক্তব্য রয়েছে যা রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত সনদের ধারার সঙ্গে মিল খায় না—বিশেষ করে আইনি নিরাপত্তার কথাটি খসড়ায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই বলে তারা মনে করেন। এই ইস্যুতে প্রতারণার সন্দেহও তুলে ধরা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন যে সরকার গত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্তরে আশ্বাস দিলেও চূড়ান্ত খসড়ায় তাঁদের ন্যায্য দাবি রাখা হয়নি; এজন্যই গেটে অবস্থান নেয়া হয়েছিল।

শুধু একদিন আগের সংঘর্ষ ও সে সম্পর্কিত পুলিশি কার্যক্রম ও আক্রান্তদের সংখ্যা-ই ঘটনার পরবর্তী দিনগুলোর খেলাফিলাভ ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর