সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা অব্যয়িত হজ তহবিলের অর্থ।
৯৯০টি হজ এজেন্সির এ অর্থের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আট বছরে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মে আইবিএএন হিসাবে জমা ছিল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের হজযাত্রীদের ব্যয় নির্বাহের জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে প্রতি বছর টাকা পাঠানো হয়। তবে গত কয়েক বছরে ওই হিসাবে কিছু অর্থ অব্যয়িত থেকে যায়।
হজ এজেন্সিগুলোর অনুরোধে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করে। অবশেষে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হজ অফিসের আইবিএএনে থাকা এ অব্যয়িত অর্থ ফেরত দিয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, “ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও সৌদি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার ফলেই অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরো টাকা বাংলাদেশ হজ অফিসের ‘মাসার নুসুক’ প্ল্যাটফর্মের আইবিএএন থেকে হজ অফিসের সৌদি-ফ্রান্সি ব্যাংকে পরিচালিত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর কাছে অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রশাসনিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। “এই উদ্যোগ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও হজ ব্যবস্থাপনায় দায়বদ্ধতার একটি বড় দৃষ্টান্ত,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মু আ আউয়াল হাওলাদার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমতিয়াজ হোসেন, যুগ্মসচিব (হজ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ।
এসআর
মন্তব্য করুন: